করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউনের কারণে তীব্র আর্থিক সমস্যায় মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিতে বিভিন্ন সংগঠন এগিয়ে এসেছে। বিদ্যা ভারতীর আদর্শ হল পঠন পাঠনের সাথে সমাজ সেবা। বিদ্যার্থীদের শেখানো হয় এই সমাজ আমার। তাই এই বিপর্যয়ের সময় সমাজের পাশে দাঁড়ানো পরম কর্তব্য। এই আদর্শকে মাথায় রেখে বিদ্যা ভারতী শিক্ষা সমিতি পরিচালিত ধর্মনগরের ত্রিপুরেশ্বরী শিশু মন্দিরের কর্মকর্তারা এবং আচার্য আচার্যা এহেন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে এখন পর্যন্ত মোট ৫ হাজার টাকা অর্থ রাশি অনুদান দিয়েছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা সমিতির কার্যকর্তারাও ব্যক্তিগতভাবে নিজ সাধ্যমত মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে তথা দুস্থদের মধ্যে অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন।
তাছাড়া মারণব্যাধি এই রোগ থেকে রক্ষা পেতে সরকারি নির্দেশে বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ, অফিস আদালত সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সরকারিভাবে সবকিছু বন্ধ থাকলেও ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান চলছে বিদ্যা ভারতী পরিচালিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। পুরোপুরি শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই চলছে পড়াশোনা। প্রায় ১০০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিজ বাড়িতে বসে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। ঠিক একই ভাবে প্রায় ১৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকা বাড়িতে বসে পাঠদান কার্য সম্পাদন করছেন। ঠিকভাবে পড়াশোনা হচ্ছে কি না সেদিকে নজর রাখছেন অভিভাবকরা। বিদ্যালয়ের এই শিক্ষাদান পদ্ধতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন সচেতন মহল। বর্তমান পরিস্থিতিতে কিভাবে ছাত্রদের পড়াশোনা চালু রাখা যায় সে নিয়ে অনেক পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধানাচার্য গৌরাঙ্গ চন্দ্র নাথ জানান এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছাত্ররা বাড়িতে বসে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। তাছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে এবছর কবিগুরুর ১৫৯তম জন্ম জয়ন্তী পালন করা হয় এই বিদ্যালয়ে।
এদিকে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ বাড়িতে মাস্ক তৈরী করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বন্টন করছেন। তাছাড়া আচার্য আচার্যাগনও মাস্ক এবং সেনিটাইজার তৈরী করে সাধারণ মানুষ তথা স্বাস্থ্য কর্মী, ব্যাঙ্ক কর্মী ও পুলিশ কর্মীদের হাতে পৌঁছে দেন। বিদ্যালয় সন্নিকটে অবস্থিত সাফাই কর্মীদের বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করে মিষ্টিমুখ করানো হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ের সামান্য আর্থিক ব্যবস্থার মধ্যেও এমন সুন্দরভাবে সেবা কাজ করার জন্য সমাজের মধ্যে এই বিদ্যালয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে।