করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউনের কারণে তীব্র আর্থিক সমস্যায় মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিতে বিভিন্ন সংগঠন এগিয়ে এসেছে। বিদ্যা ভারতী একটি রাষ্ট্রীয় সংগঠন। তাঁর আদর্শ হল পঠন পাঠনের সাথে সমাজ সেবা। বিদ্যার্থীদের শেখানো হয় এই সমাজ আমার। তাই এই বিপর্যয়ের সময় সমাজের পাশে দাঁড়ানো পরম কর্তব্য। এই আদর্শকে মাথায় রেখে বিদ্যা ভারতী ত্রিপুরা প্রান্তের কর্মকর্তারাও এহেন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে এখন পর্যন্ত মোট ৯০ হাজার টাকা অর্থ রাশি অনুদান দিয়েছেন। বিশেষ করে এই অনুদানের সিংহভাগ বহন করেছেন ত্রিপুরা বিদ্যা ভারতীর তিনটি বিদ্যালয় আনন্দময়ী ঘোষাল মেমোরিয়াল ত্রিপুরেশ্বরী বিদ্যা মন্দির কৈলাশহর (মোট ১৩৫০০/-), ত্রিপুরেশ্বরী শিশু মন্দির, রামনগর, আগরতলা (মোট ২৫০০০/-) ও ত্রিপুরেশ্বরী বিদ্যা মন্দির, গান্ধীগ্রাম, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা (মোট ৫০০০০/-)। বিদ্যা ভারতী রাজ্যিক সমিতি ও বিদ্যালয় সমূহের পরিচালনা সমিতির কার্যকর্তারাও ব্যক্তিগতভাবে নিজ সাধ্যমত মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে তথা দুস্থদের মধ্যে অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন।
তাছাড়া মারণব্যাধি এই রোগ থেকে রক্ষা পেতে সরকারি নির্দেশে বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ, অফিস আদালত সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সরকারিভাবে সবকিছু বন্ধ থাকলেও ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান চলছে ত্রিপুরা রাজ্যের বিদ্যা ভারতী পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ত্রিপুরেশ্বরী বিদ্যা নিকেতন গুলিতে। প্রায় ৮০০ ছাত্র-ছাত্রী নিজ বাড়িতে বসে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। ঠিক একই ভাবে প্রায় ৬০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা বাড়িতে বসে পাঠদান কার্য সম্পাদন করছেন। ঠিকভাবে পড়াশোনা হচ্ছে কি না সেদিকে নজর রাখছেন অভিভাবকরা। বিদ্যা ভারতীর এই শিক্ষাদানের এই পদ্ধতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন সচেতন মহল। বর্তমান পরিস্থিতিতে কিভাবে ছাত্রদের পড়াশোনা চালু রাখা যায় সে নিয়ে অনেক পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় সমূহের প্রধানাচার্যগণ জানান এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছাত্ররা বাড়িতে বসে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে।
এদিকে বিদ্যা ভারতীর কর্মকর্তাগন ও বিদ্যালয়সমূহের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ বাড়িতে মাস্ক তৈরী করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বন্টন করছেন। আগামী দিনে সেনিটাইজার তৈরী করে সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে দাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন বিদ্যালয় সমূহের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ ছাত্র-ছাত্রীগণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে এধরণের সেবা কাজ করার জন্য বিদ্যা ভারতী পরিচালিত ত্রিপুরেশ্বরী বিদ্যালয়সমূহ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে বলে যানা যায়।