গত শনিবার, সকাল ১১.০০ ঘটিকায় ত্রিপুরেশ্বরী শিশু মন্দির, রামনগর, আগরতলায় বিদ্যা ভারতী ত্রিপুরা প্রান্তের প্রান্তীয় প্রধানাচার্য ও বিষয় প্রমুখ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যা ভারতী অখিল ভারতীয় শিক্ষা সংস্থানের মাননীয় উপাধ্যক্ষ ড° শঙ্কর রায় মহাশয় এবং অখিল ভারতীয় প্রবাস যোজনায় ত্রিপুরা প্রবাসে আগত বিদ্যা ভারতী মধ্য ক্ষেত্রের মাননীয় মহামন্ত্রী (সম্পাদক) শ্রীযুক্ত বিবেক শেন্ডে মহাশয়।
বৈঠকে বিদ্যা ভারতী ত্রিপুরা প্রান্তের মাননীয় সভাপতি শ্রীযুক্ত ধীরেন্দ্র কলই মহাশয়ও পূর্ণ সময় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক পরিচালনা করেন বিদ্যা ভারতী ত্রিপুরা প্রান্তের সচিব শ্রীযুক্ত সুভাষ গণ চৌধুরী মহাশয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা প্রান্ত সংযোজক শ্রী নীলমণি চক্রবর্তী মহাশয়।
বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল, প্রধানাচার্য কর্তৃক নিজ নিজ বিদ্যালয়ের রিপোর্ট পাঠ করা হয় ও প্রান্তীয় বিষয় প্রমুখ কর্তৃক নিজ নিজ বিষয়ের রিপোর্ট পাঠ করা হয়।
তারপর মুখ্য অতিথি বিবেক শেন্ডেজী তাঁর আলোচনা রাখেন। তিনি বলেন যে বিদ্যালয় কেবলমাত্র বাহ্যিক পরিকাঠামো (infrastructure) দ্বারা পরিচালন করা যায়না, এটা বৃহৎ শিক্ষা ব্যবস্থার এক অংশ, তাছাড়া যোগ্যতা সম্পন্ন আচার্য আচার্যা, তাঁদের স্থায়িত্ব এবং প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরী।
তিনি আরও বলেন যে প্রত্যেক বিদ্যালয়ের শিশু বাটিকা বিভাগকে আরোও গুণাত্মক ও মজবুত করা প্রয়োজন, প্রত্যেক বিদ্যালয়ে পাঁচটি আধারভূত বিষয়ের (শারীরিক, যোগ, সঙ্গীত, সংস্কৃত, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা) ক্রিয়ান্বয়ণ প্রয়োজন, তার জন্য বিদ্যালয়স্তরে প্রত্যেক বিষয়ের প্রমুখ থাকা আবশ্যক।
বিদ্যা ভারতী পরিচালিত বিদ্যালয়ে বালিকা সম্মেলন তথা ব্যক্তিত্ব বিকাশ শিবির আয়োজন করা দরকার, প্রত্যেক বিদ্যালয়ের শারীরিক ও যোগ বিষয় প্রমুখদের প্রশিক্ষণ করাতে হবে এবং তার জন্য Structure wise প্রশিক্ষণ টোলি থাকতে হবে।
তিনি বলেন যে আমাদের এক নির্ধারিত স্পষ্ট লক্ষ্য আছে, আমরা লক্ষ্য অনুযায়ী এগিয়ে যাবো, তার জন্য এক সংগঠিত সাংগঠনিক পরিকাঠামো প্রয়োজন, প্রান্ত স্তরে, সংকুল স্তরে ও বিদ্যালয় স্তরে।
তারপর প্রান্ত সংযোজক নীলমণি চক্রবর্ত্তী কর্তৃক উক্ত আলোচনার পুনরাবলোকন করা হয়। অবশেষে কল্যাণ মন্ত্রের মাধ্যমে বৈঠকের সমাপ্তি ঘটে।