বৃহস্পতিবার বিহাড়ার সরস্বতী বিদ্যানিকেতনে ২৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন ও রজত জয়ন্তী বর্ষের সূচনা করা হয়। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা উপস্থিত অতিথিদের প্রথমে বরণ করে নেয়। পরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন রাষ্ট্র সেবিকা সমিতির পশ্চিম কাছাড় জেলা প্রচারিকা জ্ঞান্তি কৈরী। এরপর পরিবেশিত হয় বিদ্যালয়ের সরস্বতী বন্দনা অনুষ্ঠান। এতে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী আচার্য আচার্যা সহ উপস্থিত অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আচার্য বনমালী শুক্লবৈদ্য। এরপর ২৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন শিক্ষাবিদ রামেন্দ্র ধর। পতাকা উত্তোলনের পর বিদ্যালয়ের রজত জয়ন্তী বর্ষের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। এতে বিদ্যালয়ের রজত জয়ন্তী বর্ষের চিত্র ফলক উন্মোচন করেন শিক্ষাবিদ রামেন্দ্র ধর, কুলমণি মিশ্র, নিখীল দেব প্রমুখ। পরে প্রাসঙ্গিক বক্তব্যে শিক্ষাবিদ নিখীল দেব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লগ্নের স্মৃতিচারণ করেন।
শিক্ষাবিদ রামেন্দ্র ধর বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা কালীন উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম প্রয়াত প্রভঞ্জন দেব, অনিল শুক্লদাস ও গৌতম পাল সহ অন্যদের কথা তুলে ধরেন। বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সম্পাদক মনোজিত গোস্বামী বিদ্যালয়ের গৌরবগাথা স্মরণ করে বিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন।
রজত জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সমস্ত বৎসর ব্যাপিয়া বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের যোজনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা যায়। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ছাত্র ছাত্রীরা এদিন এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও পরিবেশন করে। এদিনের অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করে বিদ্যার্থী সুষ্মিতা দে ও বিপ্রজিৎ দাস। পরে কল্যাণ মন্ত্রের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপন হয়।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর্ব ভারতীয় শিক্ষা সংস্থান বিদ্যাভারতীর অন্তর্গত বিহাড়া সরস্বতী বিদ্যা নিকেতনের স্থাপনা হয় ১৯৯৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী। তৎকালীন সময়ে বিদ্যালয়টির শুভ সূচনা করেছিলেন বরিষ্ঠ সংঘ প্রচারক প্রয়াত গৌরীশঙ্কর চক্রবর্তী। শুরুর দিকে কিছুদিন বিহাড়া এম ভি স্কুল ভবনে বিদ্যালয় চলার পর শিবটিলা স্থিত বিহাড়া রামকৃষ্ণ মিশনে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়। পরে বিহাড়ার ছয়ারণ বস্তিতে স্থায়ী জমি ক্রয় করে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হতে থাকে।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে সরকারি বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত বলে জানা যায়। বিগত কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিক পরীক্ষা তথা অন্যান্য পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের নজরকাড়া সাফল্য লক্ষ্য করা গিয়েছে।